কলকাতা: ডিএ নিয়ে বড় আপডেট। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট পেশ করল অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার তার তহবিল অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের পে কমিশন মেনে ডিএ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
রাজ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে ক্ষোভ অনেকদিনের। সম্প্রতিই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বকেয়া ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে রাজ্যে যে বকেয়া ডিএ রয়েছে, তার সঙ্গে এই ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টের কোনও যোগ নেই। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে মহার্ঘ ভাতা বকেয়া রয়েছে, তা পঞ্চম পে কমিশনের অধীনে। এই রিপোর্ট ষষ্ঠ পে কমিশনের।
ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট ২০১৫ সালেই প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময়ই বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের পে কমিশন মেনে ডিএ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তখন এই রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে আনতে হবে ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ীই এবার পাবলিক ডোমেইন বা জনসমক্ষে আনা হচ্ছে ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট।
এতে সরকারি কর্মীরা তাদের গ্রেড অনুযায়ী কত টাকা পাবেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্য নিজের তহবিল অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে। অর্থাৎ সর্বভারতীয় ভোক্তা মূল্য (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স )অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার দরকার ডিএ নেই।
এই বিষয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্টের প্রতিনিধি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কমিশন সুপারিশ করেছে রাজ্য সরকার সময়ে সময়ে, অর্থাৎ যখন তার আর্থিক সম্পদ উপলব্ধ হবে, তখন রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডিএ দেবে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দরকার নেই। সর্বভারতীয় ভোক্তা মূল্য মেনে চলতে হবে না রাজ্য সরকারকে। অভিরূপ সরকার এই কথা বলেছেন। তিনি স্ট্যাটিসটিক্যালে কাজ করতেন। নিজে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেয়েছেন, এখন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স মেনেই ডিয়ারনেস রিলিফ পাচ্ছেন। তিন বছর ধরে কমিশনের চেয়ারম্যানের পদে বসে, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বাঁচাতে এই কথা বলেছেন। আমাদের সংগঠন ধিক্কার জানাচ্ছে ওঁকে। তিনি অর্থনীতিবিদ হয়ে কী করে এই কথা বলতে পারলেন। এতদিন পে কমিশনের রিপোর্ট বেরিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের হারে ডিএ দেওয়া হয়।”